কুতুবদিয়া সংবাদদাতা:

দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ‘র কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি ও কুতুবদিয়া আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফিরোজ আহমেদকে হত্যার পরিকল্পনা অবশেষে ফাঁস হয়ে গেছে। ষড়যন্ত্রকারীদের ভয়ংকর পরিকল্পনা জানতে পেরে জীবনের নিরপত্তার তাগিদে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুতুবদিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন এডভোকেট ফিরোজ আহমেদ।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের বশির উল্লাহ সিকদার পাড়া (৭নং ওয়ার্ড) গ্রামের মরহুম আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফিরোজ আহমেদ সৎ ভাইদের নির্যাতন, নিপিড়নে পৈত্রিক ভিটে ও সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত হয়ে বিগত ১৯৮১ সালে বিভাগীয় শহর চট্টগ্রামে চলে যায়। সম্পূর্ণ নিজ প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে এম.এ.এল.এল.বি ডিগ্রী অর্জন করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে কক্সবাজার জেলা আইনজীবি সমিতিতে সদস্য হিসেবে দীর্ঘ ২১ বছর আইন পেশার পাশাপাশি বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সৎ ভাই ও স্থানীয় ভূমিদস্যুদের নির্যাতনে ফেলে যাওয়া পৈত্রিক সম্পাত্তি পুনরুদ্ধার করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে আইনজীবি হিসেবে দীর্ঘ ৩৬ বছর পরে গত ২০১৬ সালের ১লা অক্টোবর কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে যোগদান করেন তিনি। গত বছর ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আদালতে ৫/৬টি মামলা করে এক একর ভূমি উদ্ধার করায় এলাকার চি‎িহ্নত ভূমিদস্যুদের চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়ান এডভোকেট ফিরোজ আহমেদ। এর জের ধরে পরবর্তীতে কক্সবাজার সমিতি পাড়াস্থ তাঁর বাসায় ডাকাতি সংঘটিত করে। ডাকাতির ঘটনার বিরুদ্ধে তিনি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা (সি.আর ১৩৭৮/১৭নং) রুজু করেন। মামলায় নিন্মোক্ত ব্যক্তিগণ গত ২৫ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হয়। ৩৬ বছর আগে স্থানীয় ভূমিদস্যুদের দখলে নেয়া ২ একর জমি উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালালে মৃত আবদু রশিদের ছেলে ভূমিদস্যু আবু ইসহাক (৪৫), মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে সিরাজুল হক (৫৫) ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মোঃ ইউনুছ (৩৫), আবুল বশরের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩০), আজিজুর রহমানের ছেলে শফিউল আলম বাবুল (৪৫), ও মৃত আবদু রশিদের ছেলে আবু নছরসহ আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে এডভোকেট ফিরোজকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সন্ত্রাসীরা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে প্রকাশ্যে হাঁকা বকা করে বলে ফিরোজকে খুন করার জন্য ১০ লাখ টাকা বাজেট করা হয়েছে। খুন করে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চুড়ান্ত পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে পেরে জীবনের নিরাপত্তার তাগিদে এডভোেেকট ফিরোজ আহমেদ বাদী হয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুতুবদিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (৫৮৭ নং) করেন।